টেলিটক ই-সিম চালু । জেনে নিন ই-সিমের দাম
টেলিটক ই-সিম চালু । জেনে নিন ই-সিমের দাম
বাংলাদেশে প্রথম ই-সিম নিয়ে আসছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন ২০২২ সালে ই-সিম চালু করে। এরপর আস্তে আস্তে বাংলালিংক ও রবি তাদের ই-সিম সেবা পদ্ধতি চালু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় টেলিটকে নিয়ে আসছে ই-সিম সেবা।
ই-সিম অধিক পরিবেশ-বান্ধব এবং অনলাইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র সফটওয়্যার দ্বারা একটিভ করা যায়। বারবার সিম খুলে লাগানো, কিংবা সিম হারিয়ে ফেলার সমস্যাও ই-সিম এর সাথে নেই।
এছাড়া একই সময়ে একাধিক ফোন নাম্বার ব্যবহার করা যাবে এই নতুন সিস্টেমে। মোবাইল এর মডেল এর উপর নির্ভর করে একই মোবাইলে একই সাথে ৫টি পর্যন্ত ইসিম ব্যবহার করা যাবে।
টেলিটক ই-সিম ব্যবহার
- একটি স্মার্ট ফোনে সর্বোচ্চ পাঁচটি ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন।
- টেলিটক ই-সিম বাজার বা অনলাইন থেকে কিনতে পারবেন।
- তারপর ই-সিম কার্ড এক্টিভিশন করার জন্য QR কোড পাবেন সেটি স্কানিং করে মোবাইল ফোনে একটিভ করতে হবে।
- টেলিটক ই-সিমে মোবাইল রিচার্জ সহ ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে পারবেন অ্যাপস এর মাধ্যমে।
টেলিটক ই-সিম এর সুবিধা
- বর্তমানে আমরা যে সিম কার্ডগুলো ব্যবহার করে থাকি সেটি হারিয়ে যাওয়া অথবা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনি যদি টেলিটক ই-সিম ব্যবহার করেন তাহলে হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
- ই-সিম ফোনে একবারই অ্যাক্টিভেশন করলে সেটি সারাজীবন ব্যবহার করতে পারবেন।
টেলিটক ই-সিম এর অসুবিধা
টেলিটক ই-সিম এর বড় অসুবিধা হল সিমটি শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করা যাবে। এটি বাটন মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিটক ই-সিমের দাম
যেহেতু বাজারে এখনো সিমটি আসে নাই শুধুমাত্র এর উদ্বোধন হয়েছে। এইতো বাজারে যদি সিমটি আসে তাহলে তার দাম তখন নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তবে এটুকু জেনে নিন ম্যানুয়াল সিম কার্ডের দামের থেকে ভার্চুয়াল ই-সিম এর দাম কম হবে।
টেলিটক ই-সিমের নিরাপত্তা
টেলিটক ই-সিম যেহেতু ডিজিটাল অথেনটিকেশন তাই অনেকে মনে করেন ই-সিম সাধারণ সিমের মত ততোটা নিরাপদ নয়। যদি আপনি এটি ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল জানেন। কারন ই-সিমে eUICC স্টোর করা থাকে যার জন্য ম্যানুয়াল সিম কার্ড থেকে ই-সিমকে আলাদা করে।
eUICC হলো ডিভাইসে থাকা একটি ডেডিকেটেড চিপ। যেটি ম্যানুয়াল সিম কার্ডের মতোই ই-সিমের নিরাপত্তা একই প্রদান করে। eUICC চিপটি থাকার জন্য আলাদা করে বাড়তি হার্ডওয়ার এর প্রয়োজন হয় না।
এছাড়া ই-সিম জেনারেশনের প্রক্রিয়া জিএসএমএ দ্বারা খুবই সুরক্ষিত, যা সাইবার থ্রেট থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে।